আইন-বিচার

সেতু ভবন পোড়ানোর পর শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পোড়াইতে বলছি কী, আর আগুন দিছে কই

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কামরুলকে ১০ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মইনুল ইসলাম খান পুলক। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন

গত বছর ১৭ জুলাই ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আন্দোলন দমনে ডিএমপি অধিভুক্ত সকল পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ ও গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিকেলে সিজার লিস্ট থেকে আরেক সাক্ষী মামলাটির জব্দ তালিকা তুলে ধরেন

আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম। আসামিদের গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী

শেখ হাসিনার এ মামলায় ৪৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন জুনায়েদ। তিনি ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ণনা দিয়েছেন

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী

বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মো আবুল কালাম আজাদ নামে এক ভুক্তভোগী ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন

দুদক তাকে জিজ্ঞাবাদের জন্য ১০ দিনের আবেদন করে। আদালত দুইপক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্রদের আন্দোলন প্রত্যাহারে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয় । সেই সাথে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে এবং এই আন্দোলনে বিএনপি জামায়াত ঢুকে নাশকতা করছে এমন স্বীকারোক্তি আদায়ে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা কার্যক্রম চলে। তবে এ মামলায় নাহিদ ইসলামের জবানবন্দির পরই সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল আমিন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে ২ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত সেটি মঞ্জুর করেন