জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মাষ্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা

প্রতিনিধি
অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ১৫: ২৩
Thumbnail image

জুলাইয়ের অভ্যুত্থান দমন অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই মন্তব্য করেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা, ২৫ হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে গুলি করে আহত করা, নারীদের ওপর সহিংসতা, শিশুদের টার্গেট করে হত্যা, এমনকি লাশ ও জীবিত মানুষকে একত্র করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতাও ছিলেন শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন এই অপরাধগুলোর প্রধান নিউক্লিয়াস। গোপন কারাগারে নির্যাতন ও হত্যার মতো ঘটনা তার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ গুলোর মধ্যে দুটি অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাকিগুলো আপাতত সবার জন্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।

প্রথম অভিযোগটি হচ্ছে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারের নাতিপুতি বলে উল্লেখ করেছিলেন। এটা বলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর তারা মানবতাবিরোধী এসব অপরাধগুলো করে। এই উসকানির দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সরাসরি নির্দেশ। তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার অনেকগুলো টেলিফোন কনভারসেশন জব্দ করেছে। সেখানে তিনি বারবার সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছেন, রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, হেলিকপ্টার ,ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র নিরীহ আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সরাসরি সেই নির্দেশের প্রমাণপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা হাতে পাওয়ার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে এই দ্বিতীয় অভিযোগটি দাখিল করেছে।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

আইন-বিচার নিয়ে আরও পড়ুন

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শরীফ উদ্দিন বলেন, সাড়ে ৩ বছর আইনি লড়াইয়ের পর চাকরি ফিরে পেয়ে সব কষ্ট কেটে গেছে।

৪ ঘণ্টা আগে

বিবিসি নিজস্বভাবে রেকর্ডটির নিরপেক্ষ যাচাইয়ের জন্য সেটি ফরেনসিক প্রতিষ্ঠান 'এয়ারশট'-এর কাছে পাঠায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এতে কোনো সম্পাদনা, কাটাছাঁট বা কৃত্রিম শব্দ সংযোজনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি

৫ ঘণ্টা আগে

গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ বলে বৈধতা দিয়েছে—এমন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

১ দিন আগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন স্টেট ডিফেন্স।

২ দিন আগে