কিংবদন্তির পথে এক ধাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক

এক শ টেস্ট খেলা তাঁর জন্য শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি দীর্ঘকাল ধরে ধরে আসা এক অবিচ্ছেদ্য প্রেরণা ও ক্রিকেটে নিবেদিত মনোভাবের পরিচায়ক।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে অভিষেকের পর ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশফিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেবায় নিয়োজিত। তার আগের বা সমসাময়িক ক্রিকেটারদের কেউই এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। তবে তাঁর দীর্ঘকালীন সাফল্যের রহস্য সহজ—অবিচলিত পেশাদারিত্ব, খেলায় নিবেদন এবং নিজের দক্ষতা ক্রমাগত উন্নত করার অদম্য মনোভাব। বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সও এক বছরের কম সময় মুশফিকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতায় এটিই উপলব্ধি করেছেন।

সিমন্সের মতে, মুশফিকের মধ্যে সেই ক্ষুধা এবং লক্ষ্য এখনো আছে যা সাধারণত ১৫০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায়। “সে ক্রমাগত নিজেকে আরও ভালো করতে চায়, প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে চায়। এই পেশাদার মনোভাবই তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘকাল ধরে সফল রেখেছে,” কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, “১০০ টেস্টে পৌঁছানো সহজ নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে বছরে মাত্র ১৫টি টেস্ট খেলা হয়। এটি মুশফিকের ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলার অকৃত্রিম আকাঙ্ক্ষার ফল।”
মুশফিকের সততা, অনুশীলনের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য দিকনির্দেশনা। সিমন্স বলেন, “তরুণরা যদি মুশফিকের মতো পেশাদার মনোভাব, নিজেকে পরিচালনা করার দক্ষতা এবং উন্নতির আকাঙ্ক্ষা অনুসরণ করে, তবে ভবিষ্যতের ক্রিকেটও আরও উন্নত হবে। বর্তমান যুগে প্রযুক্তি এবং বিশ্লেষণ খেলোয়াড়দের প্রতি ক্রমাগত নজর রাখছে, তাই সবসময় নিজের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্স ধরে রাখা প্রয়োজন।”
৩৮ বছর বয়সী মুশফিক ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও টেস্টে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখছেন। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে যে শততম টেস্টে নামার আগেও তিনি নিজের খেলাকে ধারাবাহিকভাবে শাণিত করছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার পরও তিনি সিলেট থেকে ফোনে দলের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে জানিয়েছেন, মিরপুর টেস্টের আগে তিন দিন তিনি দলীয় অনুশীলনের বাইরে নিজস্ব অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন।
সিমন্সের মতে, মুশফিক এখনও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর্যায়ে পৌঁছাননি। “আমি বলেছি, প্রতিটি দিন এবং প্রতিটি টেস্ট উপভোগ করো। যতদিন তুমি পারফর্ম করবে, ততদিন নিজেই নির্ধারণ করবে কতদিন খেলবে। পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং পেশাদারিত্ব তাকে সমর্থন করবে।” কোচ তিনটি মূল মানদণ্ডের কথা উল্লেখ করেন—ফিটনেস, পারফরম্যান্স এবং খেলার ইচ্ছা। মুশফিকের মধ্যে এখনো তিনটিই আছে। তিনি দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়দের একজন এবং পারফর্মও করছেন, যা তাঁর খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের অব্যাহত থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
সিমন্স বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ দলের বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যেও শততম টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে, তবে মাইলফলক স্পর্শ করার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে মুশফিকের স্থান অদ্বিতীয়। “অবশ্যই তিনি কিংবদন্তি। কমই খেলোয়াড় আছেন, যারা টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর মতো ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০ বছরের দীর্ঘকাল ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা, তাকে নিঃসন্দেহে কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।”

এক শ টেস্ট খেলা তাঁর জন্য শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি দীর্ঘকাল ধরে ধরে আসা এক অবিচ্ছেদ্য প্রেরণা ও ক্রিকেটে নিবেদিত মনোভাবের পরিচায়ক।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে অভিষেকের পর ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশফিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেবায় নিয়োজিত। তার আগের বা সমসাময়িক ক্রিকেটারদের কেউই এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। তবে তাঁর দীর্ঘকালীন সাফল্যের রহস্য সহজ—অবিচলিত পেশাদারিত্ব, খেলায় নিবেদন এবং নিজের দক্ষতা ক্রমাগত উন্নত করার অদম্য মনোভাব। বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সও এক বছরের কম সময় মুশফিকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতায় এটিই উপলব্ধি করেছেন।

সিমন্সের মতে, মুশফিকের মধ্যে সেই ক্ষুধা এবং লক্ষ্য এখনো আছে যা সাধারণত ১৫০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায়। “সে ক্রমাগত নিজেকে আরও ভালো করতে চায়, প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে চায়। এই পেশাদার মনোভাবই তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘকাল ধরে সফল রেখেছে,” কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, “১০০ টেস্টে পৌঁছানো সহজ নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে বছরে মাত্র ১৫টি টেস্ট খেলা হয়। এটি মুশফিকের ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলার অকৃত্রিম আকাঙ্ক্ষার ফল।”
মুশফিকের সততা, অনুশীলনের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য দিকনির্দেশনা। সিমন্স বলেন, “তরুণরা যদি মুশফিকের মতো পেশাদার মনোভাব, নিজেকে পরিচালনা করার দক্ষতা এবং উন্নতির আকাঙ্ক্ষা অনুসরণ করে, তবে ভবিষ্যতের ক্রিকেটও আরও উন্নত হবে। বর্তমান যুগে প্রযুক্তি এবং বিশ্লেষণ খেলোয়াড়দের প্রতি ক্রমাগত নজর রাখছে, তাই সবসময় নিজের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্স ধরে রাখা প্রয়োজন।”
৩৮ বছর বয়সী মুশফিক ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও টেস্টে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখছেন। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে যে শততম টেস্টে নামার আগেও তিনি নিজের খেলাকে ধারাবাহিকভাবে শাণিত করছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার পরও তিনি সিলেট থেকে ফোনে দলের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে জানিয়েছেন, মিরপুর টেস্টের আগে তিন দিন তিনি দলীয় অনুশীলনের বাইরে নিজস্ব অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন।
সিমন্সের মতে, মুশফিক এখনও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর্যায়ে পৌঁছাননি। “আমি বলেছি, প্রতিটি দিন এবং প্রতিটি টেস্ট উপভোগ করো। যতদিন তুমি পারফর্ম করবে, ততদিন নিজেই নির্ধারণ করবে কতদিন খেলবে। পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং পেশাদারিত্ব তাকে সমর্থন করবে।” কোচ তিনটি মূল মানদণ্ডের কথা উল্লেখ করেন—ফিটনেস, পারফরম্যান্স এবং খেলার ইচ্ছা। মুশফিকের মধ্যে এখনো তিনটিই আছে। তিনি দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়দের একজন এবং পারফর্মও করছেন, যা তাঁর খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের অব্যাহত থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
সিমন্স বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ দলের বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যেও শততম টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে, তবে মাইলফলক স্পর্শ করার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে মুশফিকের স্থান অদ্বিতীয়। “অবশ্যই তিনি কিংবদন্তি। কমই খেলোয়াড় আছেন, যারা টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর মতো ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০ বছরের দীর্ঘকাল ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা, তাকে নিঃসন্দেহে কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।”

নিউজিল্যান্ডের মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ওয়ানডেতে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও দারুণ লড়াই দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে জয় তাদের হয়নি
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ৯ ও ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে দেশের ৬৪ জেলা ও ৮ বিভাগের ক্রিকেট কোচ, কাউন্সিলর, নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি ও ক্রীড়া কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন
৭ দিন আগে
বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার রায়ান উইলিয়ামস বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ত্যাগ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন
১০ দিন আগে
বাংলাদেশের কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বড় জয় অর্জনের মাধ্যমে
১১ দিন আগেনিউজিল্যান্ডের মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ওয়ানডেতে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও দারুণ লড়াই দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে জয় তাদের হয়নি
মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শের মুহূর্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নামলেই মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করবেন
ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ৯ ও ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে দেশের ৬৪ জেলা ও ৮ বিভাগের ক্রিকেট কোচ, কাউন্সিলর, নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি ও ক্রীড়া কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন
বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার রায়ান উইলিয়ামস বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ত্যাগ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন