চাঁদের মাটির ধূলিকণাকে জ্বালানিতে রূপান্তর করার অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জেফ বেজোস পরিচালিত ব্লু অরিজিন। চাঁদের দীর্ঘ চন্দ্ররাত্রিতে মহাকাশযান চালু রাখা এবং শক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবন করেছে ব্যতিক্রমী এ শক্তি-রূপান্তর যন্ত্র। লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত অ্যামাজনের রিইনভেন্ট ২০২৫ সম্মেলনে যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হয়।

যন্ত্রটি তৈরি হয়েছে ইস্তারি ডিজিটাল নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এক স্টার্টআপের সহায়তায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী উইল রোপার জানান, ডিভাইসটি চাঁদের রেগোলিথ বা ধূলিকণা সংগ্রহ করে তা থেকে তাপ আহরণ করতে সক্ষম। উৎপাদিত তাপকে শক্তির উৎসে রূপান্তর করে যন্ত্রটি কার্যত ব্যাটারির মতো কাজ করবে—অর্থাৎ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকেই মহাকাশযানের জন্য শক্তি উৎপাদন সম্ভব হবে।

চাঁদের প্রতি ২৮ দিনের আবর্তনে প্রায় দুই সপ্তাহ জুড়ে বিরাজ করে গাঢ় অন্ধকার। এ সময় তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে একাধিক মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ অচল হয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। নতুন প্রযুক্তি সেই দীর্ঘ শীতল চন্দ্ররাত্রি কাটিয়ে ওঠার জন্য চাঁদের ধূলিকণাকে বিকল্প শক্তি উৎসে রূপ দেওয়ার সমাধান হাজির করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্ভাবন সফল হলে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান, অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতের উপনিবেশ স্থাপন প্রকল্প আরও বাস্তবসম্মত ও টেকসই হবে। কারণ সূর্যালোকহীন ১৪ দিনের কঠিন সময়েও মহাকাশযান নিজের শক্তি নিজে উৎপাদন করতে পারবে।