খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সন্তু লারমার জেএসএস ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারে ঝুঁকির মুখে পড়েছে দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র সাজেক।সাজেকে পর্যটকবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ী যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চালককে মারধরে ঘটনা ঘটছে।
মহান মে দিবসে খাগড়াছড়িতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে বর্ণিল র্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অরক্ষিত হয়েছে পড়েছে পাহাড়। সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে পাহাড় জুড়ে । সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় কেরা হচ্ছে বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে।
শান্তির জন্য চুক্তি হয় অথচ বাড়ে অশান্তি। জন্ম হয় নতুন নতুন সন্ত্রাসী সংগঠনের। এত চুক্তি ও সাধনার পরও গত ২৭ বছরে এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে। অধিকাংশ এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয় আবার আওয়ামী সরকারের আমলে।
খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্বার অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এসময় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম,গুলি ও দলিল উদ্বার করে যৌথবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, শনিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে মানিকছড়ি উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন ধর্মঘরস্থ ময়ুরখীল বিলে থাকা রবি টাওয়ার মেরামত যায় টেকনিশিয়ান মো. ইসমাইল হোসেন ও আব্রে মারমা।
রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। তবে মো. ফাহিম ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার সাথে ঐ তরুণীর আড়াই বছর ধরে প্রেম-স্বামী ও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। বরং ঐ তরুণী কিছু দিন আগে আমাকে বাদ দিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়েছে অন্য যুবকের।
আকস্মিক কাল বৈশাখি ঝড়ে খাগড়াছড়ির দুর্গম আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় স্কুলসহ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর।
রঙিন সাজে সেজেছে পাহাড়, উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির বটতলা এলাকা জুড়ে। মারমা সম্প্রদায়ের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হলো মহাসংঘদান।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি-কে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি।
মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসবে বর্ষ বিদায় ও বরণ ঘিরে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা রঙ্গীন হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি। আয়োজনে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলা, মৈত্রী স্নান, মৈত্রী জল বর্ষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ।
ভোরে চেঙ্গী,ফেনী ও মাইনী নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল উৎসর্গ মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়ার নলছড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে রিয়া চাকমা(২০) ও পিয়াসি চাকমা(১৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
হিংসা নয়, সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি গড়ি এমন শ্লোগানে বর্ণিল আয়োজনে শুরু হলো ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের চার দিরব্যাপী বৈসু উৎসব। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু রং ছড়িয়েছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়িতে।
পুরাতন বছরকে বিদায় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষ বরণ সাংগ্রাইং উপলক্ষ্যে ছয় দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়ার বটলতা এলাকায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী আলারী ও দঃ খেলার আয়োজন করে মারমা উন্নয়ন সংসদ।
বর্ণিল আয়োজনে সেজেছে পাহাড়বাসীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি। পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বুধবার(৯ এপ্রিল) সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান।
সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে বৈসাবি উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চেঙ্গী স্কয়ার থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে নিউজিল্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। হাজারো পাহাড়ি নারী-পুরুষের বর্ণিল পোষাকে র্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরকে রঙ্গিন করে তুলে।
খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসব বর্জনের কর্মসূচী স্থগিত করেছে ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদ ও বিক্ষুব্ধ মারমা জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে কর্মসূচী স্থগিতের কথা জানান।
মুখে ন্যায়-নীতির বুলি উড়ানো পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অন্তরে কিন্তু সাম্প্রদায়িক। সম্প্রতি তার মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ তারই প্রমাণ মিলেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ প্রকল্পে খাদ্য-অর্থ বরাদ্দে অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক বন্টনের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়।
খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ, সরকারি
খাগড়াছড়ির সীমান্ত শহর রামগড় জনপদে এক ভয়ংকর নাম ছিল বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী ত্রিপুরা। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজন্দ্র লাল ত্রিপুরার ভাগিনীর জামাই হওয়ার সুবাধে প্রভাব খাটিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে শুরু করে সর্বত্রই তার ছিল ভয়ংকার চাঁদাবাজি ও দূর্নীতির থাবা।