২৪ নভেম্বর বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন, ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগেই।দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অসংখ্য কালজয়ী সিনেমা রেখে গেছেন তিনি। মৃত্যুর পরে ভক্ত ও অনুরাগীদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আনুমানিক ৪০০ কোটি রূপির সম্পত্তি কিভাবে ভাগ হবে।

ধর্মেন্দ্রর সম্পদে রয়েছে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল বাংলো, মহারাষ্ট্রের লোনাওয়ালায় ১০০ একরের ফার্মহাউস যেখানে তিনি প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে থাকতেন, ১৭ কোটি রূপিরও বেশি মূল্যের আবাসিক ও বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট। এছাড়া তার মালিকানাধীন রয়েছে ‘গরম ধরম ধাবা’ চেইন, হরিয়ানার ‘হি ম্যান’ রেস্তোরাঁ, দামি গাড়ির সংগ্রহ এবং বড় মেয়ের নামে চালানো চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘বিজেতা ফিল্মস’।

প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর ও দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের বৈবাহিক জটিলতা সম্পত্তি ভাগাভাগিতে আইনি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের ভিত্তিতে, কোনো উইল না থাকলে সাধারণত ছয় সন্তানের মধ্যে সমানভাবে সম্পত্তি ভাগ হয়। তবে, যদি প্রথম বিবাহ বৈধ থাকে, তাহলে হেমা মালিনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশীদার হবেন না। কিছু সূত্রে বলা হয়েছে, ধর্মেন্দ্র প্রথম বিবাহ বহাল রেখে হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে।

যদিও হেমা মালিনী পূর্বেই স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ধর্মেন্দ্রের সম্পত্তির অংশীদার হতে চান না। ২০২২ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন,

“আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা বা সম্পত্তি চাইনি, শুধু ভালোবাসাই আমার কাছে যথেষ্ট।”

এছাড়া আইনজীবীরা মনে করছেন, ধর্মেন্দ্রর ছয় সন্তানের মধ্যে অবশ্যই সম্পত্তির ওপর দাবি থাকবে, কিন্তু দুই স্ত্রীর অবস্থান এবং ধর্মীয় বৈবাহিক পরিস্থিতি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাগাভাগি শুরু হবে না।

ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পর বলিউডের এই কিংবদন্তির সম্পত্তি বিতর্ক এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইনি জটিলতা এখন আলোচনার কেন্দ্রে।