নিখাদ খবর ডেস্ক
ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানালেন আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তার নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।তবে আর কারো বাঁচার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন না উদ্ধারকর্মীরা। যেহেতু আবাসিক এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেহেতু মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রয়টার্সকে আহমেদাবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হাসপাতালে অন্তত ২১০টি দেহ ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে।
বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হোস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হোস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হোস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আচমকা তীব্র শব্দ। ভূমিকম্পের মতো থরথর করে কেঁপে উঠলো চারদিক। কয়েক মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ বুঝেই উঠতে পারেননি, কী ঘটেছে। তার পর চারিদিক অন্ধকার হয়ে বেরিয়ে আসে কালো ধোঁয়া। কিছুক্ষণপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গেলো শুধু লাশ আর লাশ। আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমান। গন্তব্য ছিল লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
কিন্তু ওড়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। নিকটবর্তী বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল ভবনের গায়ে ধাক্কা খায় বিমানটি। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ২১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
ঘটনার একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই বিমানের লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর আবাসিক এলাকা।
যেহেতু আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়েছে তাই ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্য আরো বাড়তে পারে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি একটি ‘মেডে কল’ পাঠিয়েছিল, যা চরম বিপদের সংকেত। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।মাত্র ৬ সেকেন্ডেই সব শেষ। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। তবে সরকারি সূত্রে এখনো হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।
সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় উভয় ইঞ্জিনের শক্তি হারিয়ে গেছে। বিমানের উড্ডয়ন নিখুঁত ছিল এবং আমার বিশ্বাস, গিয়ার ওপরে তুলতে না পারায় বিমানটি নামতে শুরু করে। তখনই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যখন ইঞ্জিন শক্তি হারিয়ে ফেলে অথবা বিমান লিফট তৈরি বন্ধ করে দেয়।’
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এর ফ্লাইট নাম্বার ছিল এআই ১৭১। উড়োযানটি একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। যার ধারণক্ষমতা ২৫৬ জন। বিমানটি সর্বোচ্চ প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই আহমেদাবাদের কাছাকাছি চিকিৎসকদের আবাসিক হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘন ধোঁয়া ওঠে, যা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে জরুরি উদ্ধারকাজ চালাতে ২০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,যাতে উদ্ধারকাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। জরুরি বাহিনী এখনও ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলের যে সমস্ত ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে বিরাট আগুনের গোলা। তার পরেই কালো ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, মাটি ছাড়ার পর কিছু দূর উঠেছিল বিমানটি। কিন্তু আর উঠতে পারেনি। ক্রমশ সেটি নামতে শুরু করে। পাইলট যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন, ভিডিওতে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তার পরমুহূর্তেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। লোকালয়ের ওপর বিমান দুর্ঘটনার ফলে হতাহতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। ডাক্তারদের যে হোস্টেলে বিমানটি ধাক্কা খেয়েছে, সেখানেও বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই দুর্ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মন্ত্রী এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারত থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই বিমানটি আমেরিকার বোয়িং সংস্থার তৈরি ‘৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’ শ্রেণির। এই প্রথম বার বড় দুর্ঘটনায় পড়লেও অতীতে এই মডেলটির ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ একাধিকবার আলোচনায় এসেছে। এই মডেলটির উড়ান শুরু হয়েছিল ১৮ বছর আগে, ২০০৭ সালে। আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরের অদূরে ভেঙে পড়া ড্রিমলাইনারটিও প্রায় ১২ বছরের পুরনো। বাজারে আনার সময় বোয়িং দাবি করেছিল, তৈরি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার পৃথিবীর নিরাপদতম বিমান। দু’টি রোলস রয়েস ইঞ্জিনের সাহায্যে চলা বিমানটি উড়ানের সময় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে না বলেও জানিয়েছিল তারা। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রথম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। মাঝ আকাশে যান্ত্রিকত্রুটির কারণে আপৎকালীন অবতরণে বাধ্য হয়েছিল। আহমদাবাদে এই মডেলের বিমানের ষষ্ঠ দুর্ঘটনা ঘটল।
কয়েক বছর আগেই বোয়িং সংস্থার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেফোর অভিযোগ করেছিলেন, দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য বোয়িং কর্তৃপক্ষ ৭৭৭ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রাখছেন না। সেই মাসুলই কি দিল আহমদাবাদ?
ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানালেন আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তার নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।তবে আর কারো বাঁচার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন না উদ্ধারকর্মীরা। যেহেতু আবাসিক এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেহেতু মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রয়টার্সকে আহমেদাবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হাসপাতালে অন্তত ২১০টি দেহ ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে।
বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হোস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হোস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হোস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আচমকা তীব্র শব্দ। ভূমিকম্পের মতো থরথর করে কেঁপে উঠলো চারদিক। কয়েক মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ বুঝেই উঠতে পারেননি, কী ঘটেছে। তার পর চারিদিক অন্ধকার হয়ে বেরিয়ে আসে কালো ধোঁয়া। কিছুক্ষণপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গেলো শুধু লাশ আর লাশ। আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমান। গন্তব্য ছিল লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
কিন্তু ওড়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। নিকটবর্তী বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল ভবনের গায়ে ধাক্কা খায় বিমানটি। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ২১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
ঘটনার একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই বিমানের লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর আবাসিক এলাকা।
যেহেতু আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়েছে তাই ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্য আরো বাড়তে পারে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি একটি ‘মেডে কল’ পাঠিয়েছিল, যা চরম বিপদের সংকেত। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।মাত্র ৬ সেকেন্ডেই সব শেষ। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। তবে সরকারি সূত্রে এখনো হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।
সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় উভয় ইঞ্জিনের শক্তি হারিয়ে গেছে। বিমানের উড্ডয়ন নিখুঁত ছিল এবং আমার বিশ্বাস, গিয়ার ওপরে তুলতে না পারায় বিমানটি নামতে শুরু করে। তখনই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যখন ইঞ্জিন শক্তি হারিয়ে ফেলে অথবা বিমান লিফট তৈরি বন্ধ করে দেয়।’
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এর ফ্লাইট নাম্বার ছিল এআই ১৭১। উড়োযানটি একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। যার ধারণক্ষমতা ২৫৬ জন। বিমানটি সর্বোচ্চ প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই আহমেদাবাদের কাছাকাছি চিকিৎসকদের আবাসিক হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘন ধোঁয়া ওঠে, যা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে জরুরি উদ্ধারকাজ চালাতে ২০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,যাতে উদ্ধারকাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। জরুরি বাহিনী এখনও ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলের যে সমস্ত ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে বিরাট আগুনের গোলা। তার পরেই কালো ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, মাটি ছাড়ার পর কিছু দূর উঠেছিল বিমানটি। কিন্তু আর উঠতে পারেনি। ক্রমশ সেটি নামতে শুরু করে। পাইলট যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন, ভিডিওতে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তার পরমুহূর্তেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। লোকালয়ের ওপর বিমান দুর্ঘটনার ফলে হতাহতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। ডাক্তারদের যে হোস্টেলে বিমানটি ধাক্কা খেয়েছে, সেখানেও বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই দুর্ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মন্ত্রী এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারত থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই বিমানটি আমেরিকার বোয়িং সংস্থার তৈরি ‘৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’ শ্রেণির। এই প্রথম বার বড় দুর্ঘটনায় পড়লেও অতীতে এই মডেলটির ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ একাধিকবার আলোচনায় এসেছে। এই মডেলটির উড়ান শুরু হয়েছিল ১৮ বছর আগে, ২০০৭ সালে। আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরের অদূরে ভেঙে পড়া ড্রিমলাইনারটিও প্রায় ১২ বছরের পুরনো। বাজারে আনার সময় বোয়িং দাবি করেছিল, তৈরি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার পৃথিবীর নিরাপদতম বিমান। দু’টি রোলস রয়েস ইঞ্জিনের সাহায্যে চলা বিমানটি উড়ানের সময় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে না বলেও জানিয়েছিল তারা। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রথম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। মাঝ আকাশে যান্ত্রিকত্রুটির কারণে আপৎকালীন অবতরণে বাধ্য হয়েছিল। আহমদাবাদে এই মডেলের বিমানের ষষ্ঠ দুর্ঘটনা ঘটল।
কয়েক বছর আগেই বোয়িং সংস্থার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেফোর অভিযোগ করেছিলেন, দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য বোয়িং কর্তৃপক্ষ ৭৭৭ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রাখছেন না। সেই মাসুলই কি দিল আহমদাবাদ?
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইসমাইল ফিকরি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ইরানি বিচার বিভাগের ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা মিজান অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেরয়টার্সকে এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, ইরানিরা কাতার এবং ওমানকে জানিয়েছে, ইরান তখনই সত্যিকারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা করবে যখন ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ তারা নেবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইরানে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার, ১৩ জুন দেশজুড়ে হঠাৎ করে ব্যাপক সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং একাধিক বেসামরিক স্থাপনায় এই হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল।
২ দিন আগেভারতের উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ রোববার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইসমাইল ফিকরি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ইরানি বিচার বিভাগের ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা মিজান অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সকে এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, ইরানিরা কাতার এবং ওমানকে জানিয়েছে, ইরান তখনই সত্যিকারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা করবে যখন ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ তারা নেবে।
ইরানে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার, ১৩ জুন দেশজুড়ে হঠাৎ করে ব্যাপক সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং একাধিক বেসামরিক স্থাপনায় এই হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল।
ভারতের উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ রোববার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।